চন্দ্র নববর্ষের ছুটিতে জাপানে চীনা পর্যটক কমে প্রাক-মহামারী পর্বের অর্ধেক হবে। এমন পূর্বাভাসের মধ্যে আশা করা হচ্ছে, এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে আসা পর্যটক বাড়বে।
জানুয়ারি পর্যন্ত চীন ও জাপানের মধ্যে নিপ্পন এয়ারওয়েজে ফ্লাইট বুকিং নেমে এসেছে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ৪০ শতাংশ। এর বিপরীতে দক্ষিণ কোরিয়ার ফ্লাইটের বুকিং ২০১৯ সালের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে সিঙ্গাপুরের বুকিং ৯০ শতাংশের কাছাকাছি রয়েছে।
সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলীয় হোক্কাইডো দ্বীপে সাপ্পোরো স্নো ফেস্টিভ্যালে কয়েকটি চীনা ট্যুর গ্রুপ উপস্থিত হয়েছিল। এর আগে দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী রিওকান হোটেলে পর্যটকদের আন্তর্জাতিক গ্রুপের বুকিংয়ের ৩০ শতাংশ চীনা ভ্রমণকারী থাকলেও এবার তার খুব কমই ফিরে এসেছে।
অন্য এক হোটেল পরিচালক জানান, বেশির ভাগ চীনা পর্যটক ও অতিথি এখন গ্রুপের সঙ্গে নয় বরং এককভাবে ভ্রমণ করে থাকেন। চীনা পর্যটকদের বুকিং এখনো ২০১৯ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম।
তবু হোক্কাইডোতে বিশেষ করে সাপ্পোরোর হোটেল কক্ষগুলো অতিথিদের উপস্থিতিতে মুখরিত। যার অধিকাংশই এসেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বাসিন্দা। দেশটি থেকে ভ্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রাক-কভিডের চেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক অতিথি প্রত্যাশা করছে স্থানীয়তা। পাশাপাশি তাইওয়ানের পর্যটক বেড়েছে।
ট্রাভেল বুকিং ওয়েবসাইট ইকিউয়ের তথ্যানুযায়ী, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির জন্য সাপ্পোরো হোটেলের ভাড়া ২০১৯ সালের তুলনায় কমপক্ষে ২৪ শতাংশ বেড়েছে। কিছু হোটেলে প্রতি রাতের জন্য ২০০ ডলারেরও বেশি দিতে হচ্ছে।
২০১৯ সালের তুলনায় সিঙ্গাপুরের শীর্ষ বুকিং সাইটগুলোয় জানুয়ারিতে জাপানের ফ্লাইট অনুসন্ধান ৯০ শতাংশ বেড়েছে। অনুসন্ধানের শীর্ষে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকরা। অন্যদিকে চীন চতুর্থ থেকে অষ্টম স্থানে নেমে এসেছে।
-B