চীনের সাম্প্রতিক চন্দ্র নববর্ষের ছুটিতে ভ্রমণ ব্যয় ২০১৯ সালের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতিসংক্রান্ত উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও এ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া চন্দ্র নববর্ষের আটদিনের ছুটিতে মোট অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৪৭ কোটি ৪০ লাখ ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে। পর্যটন ব্যয় ৪৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৬৩ কোটি ২৬ লাখ ইউয়ান হয়েছে। চীনের সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
২০২৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ভ্রমণ ১৯ শতাংশ এবং পর্যটন ব্যয়ে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালের শেষের দিকে চীন কভিড-১৯ বিধিনিষেধ তুলে নিলেও গত বছরের চন্দ্র নববর্ষের ছুটিতে সংক্রমণের আশঙ্কা দেখা দেয়। তাই গত বছর চন্দ্র নববর্ষের ছুটিতে পর্যটক আকর্ষণ করতে পারেনি।
চলতি ছুটির মৌসুমে চীনা সিনেমা ব্যবসা সফল হয়েছে। ইয়োলো ও বুনি বিয়ারসের মতো স্থানীয় সিনেমা বক্স অফিসে ৭০০ কোটি ইউয়ান আয় করেছে, যা গত বছরের ৫৯০ কোটি ইউয়ানকে রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এ ছুটির মৌসুমে থাইল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর চীনা পর্যটকদের কাছে পছন্দের বিদেশী গন্তব্য ছিল। চীনা পর্যটকদের জন্য ভিসার প্রয়োজনীয়তা ছাড় দেয়ার পর আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বুকিং উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য।
চীনে জানুয়ারির ভোক্তামূল্য ১৪ বছরের মধ্যে দশমিক ৮ শতাংশ কমার পরে সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যান অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ানোর প্রত্যাশায় চীনা নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনতে পারে।
আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থা মুডি’স ইনভেস্টর সার্ভিসের অর্থনীতিবিদরা গৃহস্থালি ব্যয় বাড়ানোর ক্ষেত্রে চন্দ্র নববর্ষের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে জানান, এ ছুটির মৌসুম যদি ব্যয় বাড়াতে না পারে তাহলে চলতি বছরের পরবর্তী সময়ে ব্যয় বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করা চ্যালেঞ্জিং হবে।
-B